টেকনোলজির ১০টি মজাদার তথ্য। 10 interesting facts about technology!
আপনারা কি কেউ জানেন একটি ৫ মেগাবাইট (Megabits) ডেটার ওজন ছিল ১ টন, আপনারা কেউ এটা জানেন একটি রেডিও ৫০ মিলিয়ন শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে প্রায় ৩৮ বছর সময় নিয়েছিল!
হ্যালো ফ্রেন্ডস কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন! আজকের ব্লগে আপনাদের সবাইকে !!সু-স্বাগতম!! আজকের এই ইন্টারেস্টিং ব্লগপোস্টে আমরা জানবো টেকনোলজির কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টস সম্পর্কে, তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
᯾Facts No 1
সবার প্রথমে শুরু করা যাক সেই ৫ মেগাবাইট সেই ডাটা (Megabits Data) কে দিয়ে, ১৯৫৬ সালে সর্বপ্রথম কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ হিসেবে ৫ মেগাবাইটের একটি হার্ড ড্রাইভ ছিল! যেটি একটি কেবিনেট এর মধ্যে সংরক্ষিত ছিল, যেই কেবিনেটের ওজন ছিল ২২০০ পাউন্ড যেটি প্রায় এক টন এর সমান!
পৃথিবীর সর্বপ্রথম রেডিও ৫০ মিলিয়ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে ৩৮ বছর সময় নেয়! এই বিষয়টাই একটি রেডিওর জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিল, এটি একটি ফ্যাক্ট কিন্তু এর বিশেষত্ব হল এখানেই Apple-এর আইপড ৫০ মিলিয়ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে মাত্র তিন বছর সময় নিয়েছিল! যেটি অ্যাপেলের জন্য অনেক পাওয়া ছিল!
᯾ Facts No 3
আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্যামেরার পিকচার আউটপুট ডিলে ছিল ৪ ঘন্টা!অর্থাৎ পিকচার তোলার ৪ ঘন্টা পরে সে ছবিগুলি পাওয়া যেত! কিন্তু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট হচ্ছে এখানেই লুইস ডাগুয়েরে (Louis Daguerre)
নামক এক ইঞ্জিনিয়ার ১৮৩৯ সালে সেই ৪ ঘন্টা কে ১৫ মিনিটে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন! তার মানে ছবি তোলার ১৫ মিনিট পরেই ছবি উত্তোলন করা যেত।
᯾ Facts No 4
আমরা বর্তমানে অনেকেই ক্রেডিট কার্ড (Credit card) ব্যবহার করি, আমাদের সবার মনেই কখনো না কখনো চিন্তা এসেছিল যে ক্রেডিট কার্ড গুলো কি আমাদের নতুন টেকনোলজি?
কিন্তু এই ফ্যাক্ট এ আপনারা জানতে পারবেন যে এই ক্রেডিট কার্ডের চিপ গুলি দীর্ঘকাল ধরেই রয়েছে! ১৯৮৬ সাল থেকেই ক্রেডিট কার্ডে এই চিপ ব্যবহার করে হয়ে আসছে, এই ক্রেডিট কার্ডের চিপ এর ব্যবহার সর্বপ্রথম ফ্রান্সে হয় এবং এর পরে জার্মানিতে!আপনি কি জানেন যে মানুষ সাধারণত সরাসরি বই থেকে যতটা দ্রুত পড়তে পারে তার থেকে ১০ শতাংশ কম দ্রুত পরে কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনে দেখানো কোন লেখা, সেই হিসেবে বুঝা যায় মানুষ কাগজ থেকে স্ক্রিনে ১০ শতাংশ ধীরগতিতে পড়ে বা পড়তে পারে, এর সাথে আপনাকে আরেকটি বিষয় জানিয়ে দিই একটি মানুষ পুরো দৈনন্দিন জীবনে প্রতি মিনিটে ২০ বার করে চোখের পলক ফেলে বা মিট-মিট করে, ওই একই পড়া যদি আমাদের কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে রাখা হয় সেই একই পর আমাদের প্রতি মিনিটে ৭ বার মিট-মিট করতে হবে অথবা চোখের পলক ফেলতে হবে! এই বিষয়টা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে, আপনাদের কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে কিনা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন!
᯾ Facts No ৭
আমাদের মধ্যে ফোনের জিপিএস (GPS) আমরা কমবেশি সকলেই ব্যবহার করে থাকি, আমরা জানি এই জিপিএস ফেসিলিটিসটা আমাদের সকলের জন্যই ফ্রী কিন্তু প্রত্যেকদিন এই জিপিএস কে চালনা করতে হলে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়! কিন্তু আমরা তো সকলেই ফ্রি ব্যবহার করি তাহলে ২ মিলিয়ন ডলার আসে কোত্থেকে? তাহলে যারা না জানেন তাদেরকে বলে দিই এই দুই মিলিয়ন ডলার অ্যামেরিকান টেক্স রাজস্ব থেকে আসে!
᯾ Facts No ৮
আপনাদেরকে গুগল সম্পর্কে একটি ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট জানিয়ে দেই, গুগোল এ প্রত্যেক সেকেন্ডে ৪০ হাজার বার সার্চ করা হয়! এর মধ্যে শতকরা ৯৭ ভাগ সার্চ হয়ে থাকে বিভিন্ন রেনডম ওয়ার্ড (Random word) যেগুলো সাধারণত বানান এবং শব্দের অর্থ চেক করার জন্য করা হয়ে থাকে!
᯾ Facts No ৯
বড় বড় ট্যাক (Tech) কম্পানিতে বর্তমানে যেমন সাফল্যে ভরা কিন্তু তাদের শুরুটা ছিল ঠিক একদম বিপরীত! অনেক উঁচু-নিচু পথ পাড়ি দিয়ে এক একটি প্রতিষ্ঠান আজ এই অবস্থায় পৌঁছেছে! HP, Google, Microsoft এবং Apple বর্তমান সময়ে উচ্চপদস্থ ৪টি ট্যাক (Tech) কম্পানি! মজার ফ্যাক্ট হল এ চারটি কোম্পানিই তাদের যাত্রা শুরু করেছিল গ্যারেজ থেকে।
᯾ Facts No ১০
আপনি কি জানেন অ্যাপেল কোম্পানির ম্যাক এর নামকরণ কোত্থেকে করা হয়?
সর্বপ্রথম এই ম্যাক এর নাম ছিল (Macintosh) যা ছিল একটি আপেলের নাম এবং তারপর থেকেই এই ম্যাকিনটোশকে সংক্ষিপ্তাকারে ম্যাক (Mac) করা হয়। যেহেতু কোম্পানিটি অ্যাপেলের তাই পরবর্তীতে আর নাম ম্যাক এই রয়ে যায়।